কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নৌকা মার্কার প্রার্থী আরফানুল হক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ির প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। আজ (বুধবার) রাতে নগরীর শিল্পকলা একাডেমি থেকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে সিটি করপোরেশনের ১০৫ কেন্দ্রের ৬৪০ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী অংশ নেন। কুসিক নির্বাচনে দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার ছিলেন। এরমধ্যে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৪টি ভোট পড়ে। বাতিল হয় ৩১৯ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি।
এ সিটিতে (কুমিল্লা) প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও পাওয়া যায়নি বলে জানান সিইসি। কুমিল্লা সিটির পাশাপাশি পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তবে কুমিল্লার বিভিন্ন কেন্দ্রের তথ্য থেকে জানা যায়, পুরুষের চাইতে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।
নির্বাচন চলাকালে কোথাও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
সারাদেশের দৃষ্টি ছিল কুসিক নির্বাচনের দিকে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন এটি। তাই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখতে চায়নি কমিশন। যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নারী ভোটার ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। মোট ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র পদে ৫ জন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।